৬ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৩ হাজারের বেশি মৃত্যু

Passenger Voice    |    ০৯:১৯ এএম, ২০২১-১০-২২


৬ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৩ হাজারের বেশি মৃত্যু

গত ৬ বছরে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৩ হাজার ৮৫৬ জন নিহত হওয়ার তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের তথ্য তুলে ধরে বলেছেন, তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের আগে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সড়ক নিরাপদ করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা বাস্তবায়নে গাফিলতি রয়েছে।

নিরাপদ সড়কের জন্য সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের দাবি জানান মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবের বরাত দিয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, সারাদেশে প্রতিদিন গড়ে ৬৪ জন মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন। দৈনিক আহত হচ্ছেন দেড় শতাধিক মানুষ।

সড়ক দুর্ঘটনার ৬ বছরের চিত্র:
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসেবে দেখা গেছে, গত ২০১৫ সালে ৬ হাজার ৫৮১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৬৪২ জন নিহত এবং ২১ হাজার ৮৫৫ জন আহত হয়েছেন। ২০১৬ সালে ৪ হাজার ৩১২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ হাজার ৫৫ জন নিহত এবং ১৫ হাজার ৯১৪ জন আহত হয়েছেন। ২০১৭ সালে ৪ হাজার ৯৭৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ৩৯৭ জন নিহত এবং ১৬ হাজার ১৯৩ জন আহত হয়েছেন। ২০১৮ সালে ৫ হাজার ৫১৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ২২১ জন নিহত এবং ১৫ হাজার ৪৬৬ জন আহত হয়েছে। ২০১৯ সালে ৫ হাজার ৫১৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ৮৫৫ জন নিহত এবং ১৩ হাজার ৩৩০ জন আহত হয়েছে। ২০২০ সালে করোনা সংক্রমণে বছর ব্যাপী লকডাউনে পরিবহন বন্ধ থাকা অবস্থায় ৪ হাজার ৮৯১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ হাজার ৬৮৬ জন নিহত ও ৮ হাজার ৬০০ জন আহত হয়েছেন। সব মিলিয়ে গত ৬ বছরে ৩১ হাজার ৭৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৩ হাজার ৮৫৬ জন নিহত এবং ৯১ হাজার ৩৫৮ জন আহত হয়েছেন।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির দাবি

সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেছেন, 'জাতিসংঘ ২০১১ সাল থেকে ২০২১ সালকে সড়ক নিরাপত্তা দশক ঘোষণা করে সদস্য দেশগুলোর সড়ক দুর্ঘটনা অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করেছিল। অনুস্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সে অঙ্গীকার রক্ষা করতে পারেনি।'

সড়কে নিরাপত্তামূলক কর্মসূচিতে বাজেট বৃদ্ধি, গবেষণা, সভা-সেমিনার, প্রচারের মাধ্যমে গণসচেতনতা তৈরির পাশাপাশি সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানান তিনি।

এছাড়া নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এবং ট্রাফিক বিভাগের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করাসহ দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা ১২ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স চালকদের হাতে দ্রুত তুলে দেওয়ার দাবি জানান।